.
ঢাকা | বঙ্গাব্দ

২৬ সেপ্টেম্বরের থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের

  • নিউজ প্রকাশের তারিখ : Aug 30, 2025 ইং
২৬ সেপ্টেম্বরের থেকে আমরণ অনশনের ঘোষণা প্রাথমিক শিক্ষকদের ছবির ক্যাপশন: সংগৃহীত
ad728

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেডে বেতন বাস্তবায়নের সরকারি সিদ্ধান্তের পর ১১তম গ্রেডে বেতন নির্ধারণের দাবিতে প্রাথমিক শিক্ষকদের মহাসমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা বলছেন, উন্নীত স্কেলকে উচ্চতর গ্রেড হিসাবে বিবেচনা না করে ১০ ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে। আগামী ২৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সহকারী শিক্ষকদের দাবি মেনে না নিলে ২৬ সেপ্টেম্বর থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করবে।

শনিবার (৩০ আগস্ট) দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের মহাসমাবেশ থেকে এ ঘোষণা দেন তারা।

এর আগে সকালে সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের ছয়টি সংগঠনের মোর্চা ‘প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক সংগঠন ঐক্য পরিষদ’ এই সমাবেশের ডাক দেয়।

বক্তারা বলেন, শিক্ষকদের তৃতীয় দাবি ১০ বছর ও ১৬ বছরের উচ্চতর গ্রেড প্রদানে উন্নীত স্কেলকে উচ্চতর গ্রেড হিসেবে বিবেচনা করে শিক্ষকদের উচ্চতর গ্রেড থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে। শিক্ষকদের ২০২০ খ্রিষ্টাব্দের ২ সেপ্টেম্বর চাকরি উচ্চতর গ্রেড গণনা করা হচ্ছে না যা মৌলিক অধিকার লঙ্ঘন।

আন্দোলন ও মহাসমাবেশের বিষয়ে বাংলাদেশ প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোহাম্মদ শামছুদ্দীন মাসুদ বলেন, আমরা দীর্ঘদিন থেকে ১১তম গ্রেডের জন্য আন্দোলন করে আসছি। সরকার থেকে বারবার আশ্বাস দিলেও দাবি বাস্তবায়ন হচ্ছে না। প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের সিদ্ধান্ত হয়েছে। কিন্তু আমাদের দাবি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে না। তাই আমরা মহাসমাবেশ করেছি।


জোটের নেতারা জানান, প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের কনসালটেশন কমিটির রিপোর্ট সংশোধন করে সহকারী শিক্ষকদের এন্ট্রি পদে বেতন জাতীয় বেতন স্কেলের ১১তম ধাপে নির্ধারণ করতে হবে। একই পদে সন্তোষজনক চাকরির শর্ত পূরণ করা শিক্ষকদের ১০ বছর ও ১৬ বছরপূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড দিতে হবে এবং সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ পদোন্নতি দিতে হবে। এসব দাবিতে মহাসমাবেশ।

মহাসমাবেশে সভাপতিত্ব করেন মুনির হোসেন, স্বাগত বক্তব্য দেন ইলিয়াছ হোসেন ও শপথ বাক্য পাঠ করান আনিসুর রহমান। এছাড়া সমাবেশে বক্তব্য দেন সংগঠনের সভাপতিদের মধ্যে শাহিনুর আল-আমীন, তপন মন্ডল, শাহিনুর আক্তার, আনিসুর রহমান, শামসুদ্দিন মাসুদ। সাধারণ সম্পাদকদের মধ্যে আমিনুল ইসলাম, সাবেরা বেগম, নুরে আলম সিদ্দিকী রবিউল, রাসেল কবির, অজিত পাল।

অন্যান্য নেতাদের মধ্যে বক্তব্য দেন টিএম জাকির হোসেন, জাহিরুল ইসলাম জাফর, এনামুল হক, মতি লাল দাস, শিরিন সুলতানা, মাবিয়া খাতুন, মো. আজিজার রহমান মিল্টন, ওহাব সুমন, তায়েজুল ইসলাম, নূরুল ইসলাম, কামরুল ইসলাম, করিম খান, মো. মমিনুল ইসলাম, গাজী সালাউদ্দিন, গোলাম সরোয়ার, নিগার সুলতানা, নিউটন।

মহাসমাবেশে শিক্ষকদের দাবির প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বক্তব্য দেন বাংলাদেশ প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি আনোয়ারুল ইসলাম তোতা, মো. মনিরুজ্জামান মনির।

প্রসঙ্গত, শিক্ষকরা ১১তম গ্রেডের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলন করে আসছেন। গত বছরের ৫ আগস্ট বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর ৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার গঠিত হয়। অন্তর্বর্তী সরকার ক্ষমতায় আসার পর প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গঠন করা কনসালটেশন কমিটি ১২তম গ্রেড বেতন নির্ধারণের সুপারিশ করে। পাশাপাশি দেশের সব প্রধান শিক্ষকদের দশম গ্রেড বাস্তবায়নের উদ্যোগ নেওয়া হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে প্রাথমিকের সহকারী শিক্ষকরা (বর্তমান পদ শিক্ষক) ১১তম গ্রেড বাস্তবায়নের আহ্বান জানান। সরকার নতুন বেতন স্কেলের মাধ্যমে বিষয়টি সুরাহা করার কথা জানালেও প্রাথমিক শিক্ষকরা দ্রুত দাবি বাস্তবায়নে মহাসমাবেশের ডাক দেন।


নিউজটি পোস্ট করেছেন : স্টাফ রিপোর্টার

কমেন্ট বক্স
বেসরকারি শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুসহ ১২ দফা দাবি

বেসরকারি শিক্ষকদের সর্বজনীন পেনশন স্কিম চালুসহ ১২ দফা দাবি