সরকারি সাত কলেজ নিয়ে গঠিত ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির অধ্যাদেশ জারির দাবিতে আলটিমেটাম দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। তারা বলছেন, আগামী সোমবারের মধ্যে অধ্যাদেশ জারির সুস্পষ্ট রোডম্যাড পরিষ্কার করতে হবে। না হলে ফের রাজপথে কঠোরভাবে নামবেন সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা।
বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা কলেজ ক্যাম্পাসে এক সংবাদ সম্মেলনে এ হুঁশিয়ারি দেন তারা।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ১৭ খ্রিষ্টাব্দে সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে। কিন্তু কখনো শিক্ষকরা আমাদের পাশে ছিলো না।
শিক্ষা ক্যাডারের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো আপত্তি ছিলো না। তারা বছরের পর বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করে সাত কলেজে থেকে গেছেন। আমরা গুণগত মানের বিকাশ চাই। শিক্ষক শব্দের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান নয়। এই ক্যাম্পাসে উচ্চ মাধ্যমিক সক্রিয়তা বজায় রেখে উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।
আমাদের মূল দাবি আগামী সোমবারের মধ্যে অধ্যাদেশ জারির সুস্পষ্ট রোডম্যাড পরিষ্কার করতে হবে। এই দাবি না মানলে ফের সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা সড়কে নামবেন।
শিক্ষার্থীরা আরো বলেন, তারা যেটাকে উচ্চ শিক্ষার সংকোচন বলছে আমরা সেটাকে শিক্ষার বিকাশ বলছি। তারা মিথ্যা তকমা দিয়ে এই কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়।
আমার শিক্ষক যখন বলে আমরা প্রথমে সে অফিসার তারপর শিক্ষক, তখন কষ্ট লাগে। তারা কেনো সিন্ডিকেটের প্রভাবে আমাদের বিরুদ্ধে পায়তারা করছে। এটা যেনো বন্ধ হয়। শিক্ষার্থীরা কোনো উসকানির ফাঁদে পা দেবে না।
গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সরকারি সাত কলেজ কলেজিয়েট বা অধিভুক্তমূলক কাঠামোর আওতায় রাখার প্রস্তাবনা দিয়েছে সাত কলেজে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা। এ প্রস্তাবনা শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর দিয়েছিলেন তারা। ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বাস্তবায়িত হলে ওই সব কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন তারা।
পরে ১৭ সেপ্টেম্বর একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর এক স্মারকলিপি দেন। একই সঙ্গে ইউজিসির সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন তারা।
প্রসঙ্গত, গত ২৬ মার্চ রাজধানীর সাতটি সরকারি কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথক করে নতুন বিশ্ববিদ্যালয় গঠনের ঘোষণা দেয় সরকার। বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন প্রস্তাবিত নতুন নাম দেয় ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি’
সাতটি কলেজ হলো: ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, মিরপুর বাংলা কলেজ এবং সরকারি তিতুমীর কলেজ।