৭ কলেজ ইস্যুতে শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তাদের একাংশ তাদের শিক্ষার্থী, সরকার ও ইজিসির বিরুদ্ধে নানা অপপ্রচার করছে। শ্রেণিকক্ষ ছেড়ে তারা মাঠে নেমেছেন কোনো পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই, এতে পরীক্ষা ও পাঠদান ব্যাহত হওয়ায় ক্ষুব্ধ হয়েছেন শিক্ষার্থীরা। বর্তমানে সাত কলেজের শিক্ষার্থী ও শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা মুখোমুখি।

এমন প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন চেয়ারম্যান অধ্যাপক ডক্টর এস এম এ ফায়েজের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আগে শিক্ষার্থীকে ধারণ করে তারপর শিক্ষকদের বিষয়ে কি করা যায়, শিক্ষকদের স্বার্থ কতটুকু রক্ষা করা যায়, কিভাবে রক্ষা করা যায়, অবশ্যই সেটাকেও আমরা বিবেচনা করবো।

তিনি আরো বলেন, আগে ছাত্র-ছাত্রী, তারপরে শিক্ষক। ছাত্রছাত্রীদের গুরুত্ব সবার আগে। শিক্ষার্থীরা আছে বলেই আমরা শিক্ষকরা শিক্ষকতা করার সুযোগ পেয়েছি।

প্রসঙ্গত, গত ১৬ সেপ্টেম্বর রাজধানীর সরকারি সাত কলেজকে কলেজিয়েট বা অধিভুক্তমূলক কাঠামোর আওতায় রাখার প্রস্তাবনা দিয়েছেন সাত কলেজে কর্মরত শিক্ষা ক্যাডার কর্মকর্তারা। এ প্রস্তাবনা শিক্ষা উপদেষ্টা বরাবর দিয়েছিলেন তারা। ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটি বাস্তবায়িত হলে ওই সব কলেজের শিক্ষা ব্যবস্থা ক্ষতির মুখে পড়বে বলে মনে করছেন তারা।

তার পরদিন গত পরশু একই দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন (ইউজিসি) চেয়ারম্যান বরাবর এক স্মারকলিপি দেয় শিক্ষা ক্যাডার সমিতি। একই সঙ্গে ইউজিসির সামনের সড়কে মানববন্ধন করেন তারা।

ওই দুই কর্মসূচিতে শিক্ষকদের বক্তব্য প্রসঙ্গে শিক্ষার্থীরা বলেন, সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে অধিভুক্ত করার পর থেকে বিভিন্ন সময়ে শিক্ষার্থীরা রাজপথে রক্ত ঝরিয়েছে। কিন্তু কখনো শিক্ষকরা আমাদের পাশে ছিলো না।

তারা বলেন, শিক্ষা ক্যাডারের বিরুদ্ধে আমাদের কোনো আপত্তি ছিলো না। তারা বছরের পর বছর শিক্ষা মন্ত্রণালয়কে ম্যানেজ করে সাত কলেজে থেকে গেছেন। আমরা গুণগত মানের বিকাশ চাই। শিক্ষক শব্দের বিপক্ষে আমাদের অবস্থান নয়। তারা যেটাকে উচ্চ শিক্ষার সংকোচন বলছে আমরা সেটাকে শিক্ষার বিকাশ বলছি। তারা মিথ্যা তকমা দিয়ে এই কার্যক্রমকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে চায়। এই ক্যাম্পাসে উচ্চ মাধ্যমিক সক্রিয়তা বজায় রেখে উচ্চ শিক্ষার পরিবেশ তৈরি করতে হবে।

আমাদের মূল দাবি, আগামী সোমবারের মধ্যে অধ্যাদেশ জারির সুস্পষ্ট রোডম্যাড পরিষ্কার করতে হবে। এই দাবি না মানলে ফের সাত কলেজ শিক্ষার্থীরা সড়কে নামবে।